দৈনন্দিন জীবনে গ্যাসের ব্যাবহার ছাড়া একটা মুহুর্ত কল্পনা করতে পারা যায় না।কিন্তু এই গ্যাস ব্যবহার যতটা সুবিধাজনক সেই সাথে কম বিপদজনক ও না।সঠিক নিয়মে সিলিন্ডার রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহার করলে দুর্ঘটনা সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই সিলিন্ডার ব্যবহারবিধি সম্পর্কে অগেই জেনে রাখা উচিত।
সব সময় গ্যাস সিলিন্ডারের উপরের মুখটি উপরের দিকে রেখে সোজা ভাবে একটি সমতল ভূমিতে রাখুন কিংবা সংরক্ষণ করুন। কোন বদ্ধ ক্যাবিনেট নয়, সব সময় যথাযথ বায়ু চলাচল করে এমন জায়গায় সিলিন্ডারটি রাখুন। আগুন, বিদ্যুৎ এবং তাপের যেকোন রকম উৎস থেকে সিলিন্ডারকে দূরে রাখুন। ব্যবহার শেষে প্রত্যেক বার সুইচ অফ করে রাখুন। মনে রাখবেন সাবধানতার শেষ নেই , নিয়ম গুলি মেনে চললে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে।
গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের নিয়ম
বর্তমানে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার এর ব্যবহার প্রায় প্রতিটা ঘরে ঘরে। এই এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহারে একদিকে যেমন দূষণ ও পরিশ্রম উভয়ই কম হয়েছে অন্যদিকে বেড়ে গিয়েছে ঝুঁকি। আমাদের ভুল ব্যবহারে ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। প্রায়ই শোনা যায় গ্যাসের সলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটার সংবাদ খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায়। তাই আমাদের সবার সিলিন্ডার ব্যবহারের সময় অত্যন্ত সচেতন হওয়া উচিত।
এলপিজি বা সিলিন্ডারের গ্যাস আমাদের প্রায় সবারই বাড়িতেই ব্যবহৃত হয় রান্নার কাজে। প্রতিদিনের জীবনে অনেকের জন্যই এটি দরকারি। কিন্তু অসাবধানতার কারণে মাঝেমধ্যে এলপিজি সিলিন্ডারও হয়ে যেতে পারে বড় ঝুঁকির কারণ। এতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এমনকি প্রাণহানিও।
গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা নিচে তুলে ধরলাম আপনাদের জন্য –
১।এলপি গ্যাস সিলিন্ডার খাড়াভাবে রাখা, গ্যাস সিলিন্ডারকে মেঝের সমতলে রাখা এবং চুলা বা অন্য কোনো এলপিজি ব্যবহার যন্ত্রকে সিলিন্ডারের চেয়ে উঁচুতে রাখা।
২। রান্নার শেষে সিলিন্ডার বাল্বের মুখে সেফটি ক্যাপ আটকে রাখতে হবে ও রান্নার সময় দরজা-জানালা খোলা রাখবেন সবসময়।
৩।সিলিন্ডার এমনভাবে রাখতে হবে যেন কখনো পড়ে না যায় ।
৪।দাহ্য ভর্তি গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ পরীক্ষা খোলা আগুন দিয়ে না করে সাবানের ফেনা দিয়ে করতে হবে।
৫।গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার ও গ্যাসশূন্য সিলিন্ডার আলাদা রাখতে হবে।
৬। বাল্ব খোলা এবং বন্ধ করার সময় অযথা বল প্রয়োগ করা যাবে না।
৭। সিলেন্ডারে কোনো ক্ষতি বা আঘাতের দাগ মেরামত বা রং করে ঢেকে দেয়া যাবে না। সিলিন্ডারের কোনো ক্ষতি হলে তাৎক্ষণিকভাবে সেটা সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ফেরত দিতে হবে।
৮।ব্যবহারের পর গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখতে হবে। আগে ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে তারপর চুলা জ্বালাতে হবে।
৯। গ্যাসের গন্ধ পেলে লাইট, ফ্যানসহ যাবতীয় ইলেকট্রিক সামগ্রী ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
১০। সিলিন্ডারের আশপাশে শুকনো কাঠ-কয়লা অথবা অন্য কিছু জ্বালানো যাবে না। কখনও বদ্ধ স্থানে সিলিন্ডার রাখা যাবে না।
১১। সিলিন্ডারের পাশে ধূমপান করা যাবে না।
১২।নিশ্চিত করুন সিলিন্ডারে কোম্পানির সিল রয়েছে কি না।