MS Word এর বাংলা টিউটোরিয়াল

আসসালামু আলাইকুম , কেমন আছেন সবাই ? ধরে নিলাম সবাই ভালো আছেন । আজকে আলোচনার বিশয় হল মাইক্রোসফট ওয়ার্ড । আমরা অনেকেই অফিসে কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করি কিংবা চাকরি প্রত্যাশী । এসব জায়গায় চাকরি পেতে হলে অবশ্যই কম্পিউটার এর প্রতি ন্যুনতম জ্ঞ্যান থাকা বাঞ্ছনীয় । এখন এই ন্যুনতম জ্ঞ্যান বলতে কি বুঝায় ? ন্যুনতম জ্ঞ্যান বলতে মাইক্রোসফট অফিসের সকল এপ্লিকেশন সম্পর্কে বিশদ ভাবে জানা এবং ক্ষেত্রে বিশেষ ইমেইল করা এবং কম্পিউটারের খুঁটি নাটি বিশয় সম্পর্কে জানা কেই বুঝায় ।

আমি একে একে আপনাদের এই দুর্বল দিক গুলো নিয়ে বিশদ ভাবে আলোচনা করব, যাতে আপনাদের দুর্বলতা গুলো কাটিয়ে উঠে নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন । তাহলে দেরই না করে আজকের মুল আলোচনায় যাওয়া যাক ।

আমি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করে এখানে লিখবো যা আপনারা টিউটোরিয়াল হিসেবে ও শিখতে পারেন ।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কি ?

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড হল এমন একটি সফটওয়ার যার মাধ্যমে ব্যাক্তিগত কিংবা বাণিজ্যিক কাজের জন্য কোন নথি যেমনঃবই, চিঠি, ইমেইল কিংবা রশিদ তৈরির জন্য ব্যাবহার করে থাকি। এবং এই ধরনের নথি কে আমরা .docx এক্সটেনশনের মাধ্যমে কম্পিউটারে কিংবা অন্যান্য যে কোন ভার্চুয়াল ড্রাইভে সংরক্ষণ করতে পারি ।

কেন মাইক্রো সফট ওয়ার্ড আমাদের প্রয়োজন ?

  • আমরা ছবির , চার্ট ডায়াগ্রাম কিংবা বিভিন্ন গ্রাফিক্সের সাহায্যে কোন রিপোর্ট কিংবা নথি বানাতে পারি ।

  • আমরা কোন ব্যাবসায়িক কাজের জন্য স্বয়ংক্রিয় চিঠি বা ইমেইল এর জন্য ব্যাবহার করতে পারি ।

  • বইয়ের কিংবা জে কোন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্র ডিজাইন এর জন্য ব্যাবহার করা হয় ।

  • কোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের মেমো বা রশিদ কিংবা রেফারেন্স নথি বানানোর জন্য এই সফটওয়ার ব্যাবহার করা হয়।

  • এছাড়াও আমরা এই সফটওয়ারের মাধ্যমে ডিজাইন এর কাজ করতে পারি , যেমনঃকোন প্রতিষ্ঠানে আইডি কার্ড ডিজাইন কিংবা কোন বইয়ের মোড়কের ডিজাইন কিংবা কোন কিছুর স্বকৃতি স্বরূপ সার্টিফিকেট বানানোর জন্য ও কিন্তু মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যাবহার করা হয় । তাহলে শুরু করা যাক ।

আমরা আমাদের আলোচনার জন্য সবচেয়ে ব্যাবহারিত মাইক্রো সফট ওয়ার্ড এর ২০১০ এর সংকলন বা এডিশন টা বেছে নিয়েছি । মূলত সব গুলোই প্রায় একই ,শুদু নতুন ভার্শন গুলো সামান্য আপডেট বোলা চলে । তার পরেও আপনারা এটার উপর যদি প্রয়োজনীয় জ্ঞ্যান অর্জন করেন তবে যে কোন ভার্শন আপনার কাছে পানির মতই সহজ মনে হবে ।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ২০১০

সফটওয়ার ইন্সটলেশন এই অংশে থাকবে না । সাধারণত আপনারা কম্পিউটার ক্রয়ের পরে বিক্রেতা আপনার কম্পিউটারে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের এর একটি ভার্শন ইন্সটল করে দেন , কিংবা জে কোন কম্পিউটারে এটা আগের থেকেই ইন্সটল থাকবে । এখন যদি আপনার কম্পিউটারে ইন্সটল না থাকে তবে সেটা নিয়ে আমরা পরবর্তি টিউটোরিয়ালে আপনাদের কে বিস্তারিত ভাবে বুঝিয়ে দিবো ।

ধরুন আপনার কম্পিউটারে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড আগের থেকেই ইন্সটল আছে তাহলে কিভাবে খুঁজে বের করবেন ?

নিচের ছবিতে দেখুন 

MS Word এর বাংলা টিউটোরিয়াল

birbangla.com

ইউন্ডোজ ৭ এর স্টার্ট বাটনে ক্লিক করুন যখন ট্রে ওপেন হবে তখন অল প্রোগ্রামে ক্লিক করুন

নিচের ছবিতে দেখুন

birbangla.com

একটু স্ক্রল কিংবা নিচে সার্চ করলেই মাইক্রোসফট অফিস লেখা একটা ফোল্ডার পাবেন

নিচের ছবিতে দেখুন

birbangla.com

ফোল্ডার টি ক্লিক করুন কিংবা যদি অফিস এপ্লিকেশনের সব গুলো সফট ওয়ার দেখা যায় তবে মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড ২০১০ লেখা অপশন টিতে ক্লিক করুন

নিচের ছবিতে দেখুন

birbangla.com

এর পর এরকম একটি খালি পেজ আপনার সামনে দৃশ্যমান হবে ।

নিচের ছবিতে দেখুন

birbangla.com

একটি খালি পেজে আপনাদের সুবিদার্থে সব কিছু দাগ দিয়ে দেখানো হল । এখন আমরা এগুলোর কার্যকারিতা সম্পর্কে জানবো ।

নিচের ছবিতে দেখুন

birbangla.com

File Tab

এই অপশনে ক্লিক করার পর দেখতে পাবেন কিছু নতুন নতুন অপশন দেখাচ্ছে , যেমনঃওপেন ফাইল , সেইভ ফাইল , ক্রিয়েট নিউ ডকুয়মেন্ট অথবা প্রিন্ট ফাইল ।

Quick Access Tool bar

ধরুন আপনি কোন ফর্মুলা লিখে ফেলেছেন বা কোন কিছু ভুল লিখে ফেলেছেন , এবার পুনরায় ফিরে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে এখানে পাবেন Undo option . আবার ধরুন আপনি কোন কিছু লিখে মুছে ফেলেছেন সেটা আবার করতে চান সে ক্ষেত্রে পাবেন Redo Option.

Ribbon

এই অংশে থাকে ৩ টি ধাপ

  • Tabs- মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের একদম উপরের অংশে অনেক টা ম্যানুর মত অংশ যেখানে Home , Insert , Page Layout ইত্যাদি থাকে । ট্যাব গুলোর গ্রুপ এবং কমান্ড এর সাথে যুক্ত।

  • Groups- প্রতিটা ট্যাবের ভিতরে জে সকল অপশন গুলো থাকে , যেমনঃহোম ট্যাবের ভিতরে ফন্ট , ফন্ট সাইজ ফন্ট বোল্ড কিংবা আন্ডারলাইন ইত্যাদি যেই অপশন গুলো আছে সেগুলোই হল গ্রুপ ।

  • Commands- কমান্ড হলো গ্রুপ গুলো ব্যাবহার করে যে কাজ করা হয় , যেমনঃবোল্ড গ্রুপ টা সিলেক্ট করার পর যদি পেজে কিছু লেখা হয় সেটা বোল্ড বা মোটা অক্ষরের হয়ে । একে কমান্ড বলে ।

Title Bar

এটা ইউন্ডোর একদম মাঝখানে অবস্থিত , এটি ঐ ডকুয়মেন্টের এর নাম প্রকাশ করে ।

Rullers

মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে সাধারণত ২ ধরনের রুলার বা স্কেল থাকে , এক উলম্ব বরাবর অপরটি আড়াআড়ি বরাবর । আড়াআড়ি বরাবর স্কেল পেজের মার্জিন নির্দেশ করে আর উলম্ব বরাবর স্কেল পেজের মধ্যে কতটুকু জায়গা নিয়ে লেখা হবে সেটা নির্দেশ করে ।

Help

Help Icon টি ওয়ার্ডের একদম উপরে থাকে যা জিজ্ঞাসা চিহ্নের মত দেখায় । এর মাধ্যমে আপনি যদি কোন একটি অংশ না বুঝেন তাহলে এখানে সার্চ কিংবা সেই রিলেটেড কি ওয়ার্ড খুঁজলে ঐ সমস্যার সমাধান টিউটোরিয়াল আকারে পাওয়া যায় । এতে ব্যাবহার কারী তার যেকোন ওয়ার্ড সম্পর্কিত সমস্যা এর সমাধান খুঁজে পান ।

Zoom Control

এই অপশন টি একেবারে ওয়ার্ডে নিচের দিকে অবস্থিত । এর মাধ্যমে আপনি আপনার ডকুয়মেন্ট এর অবস্থান কাছে কিংবা দুরে নিতে পারেন ।

View Buttons

জুম কন্ট্রোল অপশনের একদম পাশেই এর অবস্থান । এখানে মোট ৫ টা শ্রেণি পাওয়া যাবে , যেমনঃ

  • Print Layout Viewএর মাধ্যমে প্রিন্ট কালিন ঐ ডকুয়মেন্ট এর কেমন চেহারা হবে সেটার একটি চিত্র দেখায়

  • Full Screen Reading Viewএর মাধ্যমে আপনি আপনি ডক্যুমেন্ট টি বই এর দেখে পড়ার মত করতে পারবেন

  • Web Layout Viewএর মাধ্যমে ওয়েব ব্রাউজারে এই ডক্যুমেন্ট এর চেহারা কেমন হতে পারে সেটা দেখাবে ।

  • Outline Viewআপনার ডক্যুমেন্ট এর হেডিং , সাব হেডিং থাকতে পারে । এই অপশন সিলেক্ট করলে আপনি আপনার সব হেডিং বা সাব হেডিং গুলো কে নিয়ে সুচি পত্র আকারে দেখাবে ।

  • Draft Viewএর মাধ্যমে আপনি অনেক ভাবে একটি পেজ কে দেখতে পাবেন । ধরুন আপনার প্রিন্টেড পেজে আপনি হেডার এবং ফুটার বাদে দেখতে চান । সেটাও দেখতে পাবেন । বেশির ভাগ ব্যাবহার কারী এই অপশন ( Draft View ) টাই বেশি পছন্দ করে .

Document Area

এটা মূলত সেই যায়গা যেখানে মুল লেখা লেখি টা করা হয় । সবার থেকে মাঝখানে যে সাদা কাগজের মত দেখা যায় সেটাই মূলত Document Area

Status Bar

ভিউ বাটনের বাম পাশে কিছু লেখা দেখা যায় , যেমনঃ– Word Count (ডক্যুমেন্টে কত টি শব্দ লেখা হয়েছে) , page 1 of 1 (এই ডক্যুমেন্টে কত গুলো পেজ আছে) , English (U.S) মানে এই ডক্যুমেন্ট টি কোন ভাষায় লেখা হচ্ছে । এই গুলো কে একসাথে স্ট্যাটাস বার হিসেবে ধরা হয় ।

Dialog Box Launcher

প্রতিটি রিবনের নিচে যে ছোট আকারের কোনাকোনি তির চিহ্ন দেখা যায় সেগুলোই মলত Dialog Box Launcher । এর মাধ্যমে ঐ গ্রুপের কোন অতিরিক্ত ফিচার আপনি দেখতে পাবেন ।

আজকে তাহলে মাইক্রো সফট ওয়ার্ডের পরিচিতি পর্ব তাহলে এই পর্জন্তই । এটি ধারাবাহিক ভাবে চলতে থাকবে । আগামী পর্বে Back Stage View দিয়ে শুরু হবে ।

আপনাদের যেকন অভিযোগ কিংবা পরামর্শ আমাদের লিখতে পারেন নিচের কমেন্ট কক্সে । আমরা চেষ্টা করব আপনাদের প্রয়োজন মত সেবা প্রদান করে সন্তুষ্ট করতে ।

ধন্যবাদ

 

এম এস ওয়ার্ড এর ব্যবহার,এম এস ওয়ার্ড এর কাজ কি,এম এস ওয়ার্ড কাকে বলে,এম এস ওয়ার্ড ২০১০ টিউটোরিয়াল pdf, এম এস ওয়ার্ড শর্টকাট, এম এস ওয়ার্ড ২০১০, এম এস ওয়ার্ড ২০০৭ শেখার বই pdf,এম এস ওয়ার্ড ২০১০ পিডিএফ ,ms word bangla প্রশিক্ষন, microsoft word শেখার বই, microsoft word bangla tutorial, ms word বাংলা টিউটোরিয়াল,

Leave a Comment