পেনিসিলিন কি ও এর আবিষ্কারক, এবং কাজ কি বিস্তারিত সকল তথ্য

স্কটিশ বিজ্ঞানী আলেক্সান্ডার ফ্লেমিং ১৯২৯ সালে পেনিসিলিয়াম ছত্রাকের অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার করেন। পেনিসিলিন এক প্রকার অ্যান্টিবায়োটিক। পেনিসিলিনের আবিষ্কারক আলেকজান্ডার ফ্লেমিং ছিলেন একজন চিকিৎসক ও জীবাণুতত্ত্ববিদ। তিনিই প্রথম পেনিসিলিয়ামের জীবানু ধ্বংসকারী উপাদানটি আলাদা করতে সক্ষম হন।১৯৪৫ সালে তিনি এই আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরষ্কার পান।
পেনিসিলিন ব্যাকটেরিয়া জনিত যে সকল রোগ মানব দেহে সৃষ্টি হয় , সেগুলি নির্মূল করতে ব্যবহার করা হয়।

পেনিসিলিন কে আবিষ্কার করেন কত সালে

১৯২৯ সালে আলেকজান্ডার ফ্লেমিং Penicillium notatum থেকে জীবন রক্ষাকারী অ্যান্টিবায়োটিক পেনিসিলিন আবিষ্কার করেন। ব্যাকটেরিয়া জনিত বহু রোগের ওষুধ হিসেবে এটি বর্তমানে ব্যবহার করা হয়। এটি পেনিসিলিয়াম (Penicillium)নামক ছত্রাক থেকে তৈরি হয়। ব্যাক্টেরিয়ার কোষপ্রাচীরের পেপটিডোগ্লাইকেন সংশ্লেষণ বন্ধ করে পেনিসিলিন কাজ করে থাকে।
আলেকজান্ডার ফ্লেমিং পেনিসিলিন আবিষ্কার করেছিলেন আকস্মিক এক ঘটনাক্রমে। ১৯২৯ সালের ৭ মার্চ তিনি এর নাম দেন Penicillin ; এর মাধ্যমেই শুরু হয় অ্যান্টিবায়োটিকের যুগ।

পেনিসিলিন এর কাজ কি

সব পেনিসিলিন বিটা-ল্যাক্টাম অ্যান্টিবায়োটিক এবং ব্যাকটেরিয়া বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়, সাধারণত গ্রাম-ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্ট ইনফেকশনের চিকিত্সায় এর কার্যকারিতা ভালো। স্ট্রেপ্টোকক্কাল সংক্রমণ, স্কারলেট জ্বর, মৃদু এরিসেপালস, বিটা-হিমােলাইটিক স্ট্রেপটোকক্কাস দ্বারা সৃষ্ট হৃদপিণ্ডের মাংসপেশীর প্রদাহ, নিউমােনিয়া এই সকল সংক্রমন এর জন্য পেনিসিলিন ব্যবহার হয়। ব্যাক্টেরিয়ার কোষপ্রাচীরের পেপটাইডোগ্লাইকেন সংশ্লেষণ বন্ধ করার মাধ্যমে পেনিসিলিন কাজ করে থাকে।

ফেনোক্সাইমিথাইল পেনিসিলিন ব্যাকটেরিয়া কোষের ঝিল্লির অভ্যন্তরীণ পৃষ্ঠে ট্রান্সপেপ্টিডেসকে বাঁধাই এবং নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে পেপটিডোগ্লাইকান উৎপাদনের চূড়ান্ত ক্রস-লিংকিং পর্যায়ে বাধা দেয়, এইভাবে ব্যাকটেরিয়াল কোষ প্রাচীর সংশ্লেষণকে বাধা দেয়।

ব্যাকটেরিয়া কোষ প্রাচীরের ভিতরে অবস্থিত নির্দিষ্ট পেনিসিলিন-বাইন্ডিং প্রোটিন (PBPs) এর সাথে আবদ্ধ হয়ে, ফেনোক্সিমিথাইল পেনিসিলিন ব্যাকটেরিয়া কোষ প্রাচীর সংশ্লেষণের তৃতীয় এবং শেষ পর্যায়ে বাধা দেয়। কোষ লাইসিস তারপর ব্যাকটেরিয়া কোষ প্রাচীর অটোলাইটিক এনজাইম যেমন অটোলাইসিন দ্বারা মধ্যস্থতা করা হয়; এটা সম্ভব যে ফেনোক্সিমিথাইল পেনিসিলিন একটি অটোলাইসিন ইনহিবিটারে হস্তক্ষেপ করে।

এটি কিছু সংবেদনশীল জীবের বিরুদ্ধে কম সক্রিয় হতে পারে, বিশেষ করে gm-ve ব্যাকটেরিয়া। এটি হালকা থেকে মাঝারি সংক্রমণের জন্য উপযুক্ত।

পেনিসিলিন খাওয়ার নিয়ম 

মনে রাখবেন সকল ঔষুধ খাওয়ার একটি নিদিষ্ট নিয়ম আছে। পেনিসিলিন জাতীয় ঔষধ খাওয়ার একটি নিয়ম আছে। নিয়ম অনুযায়ী পেনিসিলিন সেবন না করলে মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন। যে কোন সমস্যার জন্য নিজ থেকে পেনিসিলিন না খাওয়ায় উত্তম। পেনিসিলিন খেতে হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরমর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিত।

পেনিসিলিন একটি নিদিষ্ট দিন ও পরিমান মত সেবন করতে হয়। পেনিসিলিন এর ডোজ কমপ্লিট না করলে ঐ রোগের ব্যাকটেরিয়া দ্বিগুণ শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসে তখন পেনিসিলিন অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ কাজ করতে চাই না। সুতরাং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরমর্শ নিয়ে পেনিসিলিন নিদিষ্ট ডোজ খেতে হবে।

Leave a Comment