এখনকার সময়ে সবাই ওজন কমানোর জন্য চেষ্টা করছে। অবে বলা যাবে না ওজন বাড়ানোর জন্য কেও চেষ্টায় করে না। তবে কথা হচ্ছে, শরীর সঠিকভাবে কাজ করার জন্য শরীরের নির্দিষ্ট পরিমাণে চর্বি দরকার। অতিরিক্ত ওজন কমার ফলে ভঙ্গুর হাড়, দুর্বল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, প্রজনন সমস্যা এবং চুলের ক্ষতি হতে পারে।ওজন কমানোর জন্য গুগোলে হাজারো সার্চ পড়ে যায়, কিন্তু আপনি যদি ওজন বৃদ্ধির উপায় জানতে চান তাহলে এই পুরো পোস্টটি আপনার জন্য।
ওজন বাড়ানোর টিপস
1. মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত
চ্যালেঞ্জটি জয় করার জন্য মন প্রস্তুত হলে কার্যকর ওজন হ্রাস শুরু হয়, এটা সত্য কথা। আপনি ওজন ওজন বাড়ানোর টিপস খোঁজার চেষ্টা করছেন মানে আপনি কিন্তু প্লান শুরু করতে চাচ্ছেন। কারন আপনি যাত্রা শুরু করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে কারণ এখানে খাদ্যতালিকাগত এবং জীবনধারা পরিবর্তন প্রয়োজন হবে।
2. প্রথমে জানা দরকার যে ওজন কতটুকু বৃদ্ধি করতে হবে
আপনার উচ্চতা অনুযায়ী আদর্শ একটা ওজন আছে। যার কম বেশি হলেই আপনার বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে বা পরে হবেই। তাই আগে থেকে আপনাকে সচেতন হতে হবে। আপনি যোগ বিয়োগ করতে নেমে পড়েন।
নিচে আপনাদের জন্য ইমেজে হিসাব নিকাশ দেয়া হলোঃ
ওজন বৃদ্ধির উপায় জেনে নিন
3. খাদ্য গ্রহণ পরিমাণ বৃদ্ধি
নিয়মিত বিরতিতে দৈনিক ভিত্তিতে বেশি পরিমান খাদ্য খান। এক বারে বেশি খেলে পেটের প্যারাসহ অনেক সমস্যা হতে পারে তাই ২৪ ঘণ্টাই ০৫-০৬ বার মত ভারি খাবারের রুটিন করে নিন। ধরুন খুব ভোর, সকাল, দুপুর, বিকাল, সন্ধ্যা, রাত।
4. সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন
ধরুন শুধু আপনি ভাত ই খাচ্ছেন মোটা হওয়ার জন্য। তাহলে আপনার দেহে পুষ্টির অভাব হবে। আপনি তরকারি খাওয়ার পরিমান বাড়াতে পারেন। বিভিন্ন আইটেমে এক ধরনের তরকারি রান্না করে খাওয়া যেতে পারে।
5.রাতে প্লেট হাতে করে ঘুমানঃ
ফানি লাগছে নাকি ব্যাপারটা ! আপনি রাতে যেটুকু খাবেন তা আপনার পুরা শরীরে লাগবে। তবে ঠিক ঘুমানোর আগ মুহূর্তে। দরকার হলে আপনার বেডে খাবার প্লেট রেখে দিবেন।
6. দুধ, পনির এবং আইসক্রিম দিয়ে আপনার ফ্রিজ ভরুনঃ
অতিরিক্ত গ্লাস দুধ, স্যান্ডউইচ এবং কিছু অতিরিক্ত পনির সঙ্গে খুব সামান্য চিনাবাদাম বা মাখন আপনার সব মনবাসনা পূর্ণ করবে। আর আইস্ক্রিম বা চকলেট তো খাবেন যেন প্রতিদিনের রুটিনে থাকে।
7. জাঙ্ক খাবার থেকে দূরে থাকুন
যদিও স্নেক, কুকি, কেক এবং ভাজাপোড়া অর্থাৎ জাঙ্ক খাবারগুলি আপনাকে ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করতে পারে তবে সেগুলি স্বাস্থ্যকর খাবার নয় এবং হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস রোগে অবদান রাখতে পারে।
8. আপনার শরীরকে বুঝুন
জেনেটিকসের কারণে, কিছু লোক কেবল অন্যদের তুলনায় চিকন হয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে আপনি একটি সুস্থ ওজনে আছেন কিনা যা আপনার শরীর সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। আপনার ন্যূনতম আদর্শ ওজন কী হওয়া উচিত তা নিশ্চিত না হলে, উপরের ছবিটি দেখুন।
9. পর্যাপ্ত ঘুমঃ
তবে না খেয়ে খালি ঘুমাবেন না তাহলে ওজন আরো কবে যাবে। ওজন বাড়ানোর টিপস মেনে চলে তারপর ঘুমাবেন ০৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। মিস হয়ে গেলে অবশ্যই দিনে ০২ ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিবেন।
10. আপনার ক্যালোরি এবং ক্যালোরি লস
আপনি কতগুলি ক্যালোরি খাচ্ছেন এবং কত ক্যালরি লস বা খরচ করছেন তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন একদিন আপনি বিজি হয়ে গেছেন এবং অনেক পরিশ্রম হয়েছে। তখন আপনার ক্যালরি লস হবে তাই ওইটুকু ক্যালরি ঐদিনের জন্য পূরণ করে নিন।
12. প্রতিদিন জিম যাবেন না
আপনি যদি workouts করে থাকেন বা জিমে যান তাহলে আপনার শরীরের প্রচুর বিশ্রাম দিতে হবে। আপনি ওজন লাভ মোডে আছেন যদি প্রতি সপ্তাহে তিনবার জিমে যান।
13. খাওয়ার আগে একটু হাঁটুন
আপনি খাবারের কাছে বসার আগে একটু হাঁটুন ফলে আপনার ক্ষুধা উদ্দীপিত করতে সাহায্য করবে। বা কিছু ব্যায়াম করলে প্রয়োজনীয় ক্যালরিগুলি বার্ন করে ক্ষুধা অনুভব হতে পারে।
14. আপনার প্লেট অতিরিক্ত প্রোটিন যোগ করুন
প্রতিদিন আপনার 200 ক্যালোরি যোগ করা লাগবে/ ডাল, মাছ মাংস যে শুধুমাত্র আপনাকে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে তা নয় বরং এটি পেশী অর্জন করতে আপনাকে সাহায্য করে।
শরীরের ওজন বৃদ্ধি করার উপায়,ওজন বাড়বে কিভাবে, মাংসপেশি বৃদ্ধির উপায়, ওজন বৃদ্ধির ডায়েট চার্ট, ওজন বাড়ানো, ওজন বাড়ে না কেন, মোটা হবার সহজ উপায়,মোটা হওয়ার সহজ প্রাকৃতিক উপায়,মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা, মোটা হওয়ার প্রাকৃতিক ঔষধ,মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা,ওজন বাড়ানোর ডায়েট চার্ট