আজ আমরা জানবো সিলেট মাজার শরীফ ও শাহজালাল মাজারের ইতিহাস সম্পর্কে কিছু তথ্য জানব। এই তথ্য গুলি আমাদের জানা উচিৎ করাণ ভ্রমনের সুয় আপনার এই তথ্য গুলি আপনার সাহায্য করবে। ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত সুফি দরবেশের নাম মাথায় আসলে প্রথম যার কথা মনে পড়ে তিনি হলেন হযরত শাহজালাল (রঃ)।
এই মানুষটির জন্ম তুর্কি দেশের কনিয়াতে। পুরো নাম শেখ শাহ জালাল কুনিয়াত মুজাররদ। ধারণা করা হয় তিনি ১৩০৩ ইংরেজী সালে সিলেট অঞ্চলে আসেন যখন তার বয়স ছিলো ৩২ বছর। তিনি সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দেন শুধুমাত্র ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে।
সিলেট মাজার শরীফ
প্রথমত সিলেটে শুরু হওয়া তার ইসলাম প্রচার দিন কে দিন বাড়তে থাকে ফলে একসময় সিলেট বিজয় করেন। পরে হজরত শাহ জালালের সঙ্গী-অনুসারীদের মধ্য হতে অনেক পীর-দরবেশ- বংশধরগণ সিলেট সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বসবাস করেন। অবশ্য সিলেটের প্রথম মুসলমান শেখ বুরহান উদ্দিন। রাজা গৌরগোবিন্দের অত্যাচার করতো তার উপর। এই সব কাহিনী ও জরত শাহজালালের সফরসঙ্গী ৩৬০ জনসহ আউলিয়ার সিলেট আগমন ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁকে সিলেটেই কবর দেয়া হয়।
নগর সিলেটের প্রায় মধ্যখানে টিলার উপর চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন হযরত শাহজালাল (রহ:) । তার মাজার জেয়ারতের জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিদিনইধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষ সিলেট আসেন।সিলেটকে অনেকেই পূণ্যভূমি হিসেবে অভিহিত করেন কারন তাহার মত পীরে কামেল এই মাটিতে চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন । তাকে ওলিকুল শিরোমণি আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।
শাহজালাল মাজার
হযরত শাহজালাল (র:) এর আধ্যাত্মিক শক্তি ও জ্ঞানের পরিচয় পেয়ে হযরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া (র:) তাঁকে সাদরে গ্রহণ করেন।স্বজন ও ভ্রাতিত্ববোধের আলোকে তাঁকেএকজোড়া সুরমা রঙের কবুতর বা জালালী কবুতর উপহার দেন নিজামুদ্দিন আউলিয়া (র:)। শাহজালালের মাজার এলাকায় প্রতিদিন ঝাঁকেঝাঁকে কবুতর উড়তে দেখা যায় যা কিনা ঐ কবুতর জোড়ার বংশধর।
সিলেটের শাহজালাল (র.) এর মাজার চত্বরের উত্তরদিকে রয়েছে একটি পুকুর। এই পুকুরেআছে অসংখ্য গজার মাছ । শাহজালাল এর মাজারের পাশেই রয়েছে একটি কূপ। যেখানে সোনালি ও রুপালি মাছ দেখা যায়। এখানে পানির ফোয়ারা বসানো হয়েছে যা ২৪ ঘণ্টা পানি প্রবাহিত করে। মাজারের পশ্চিম দিকে অবশ্য মেইন ঝরনা দেখতে পাওয়া যায়।
ঢাকার বীর মুরাদ দানকৃত ৩ টি বিশাল আকারের ডেক রয়েছে, মাজারের পূর্ব দিকে রয়েছে। যদিও সেগুলোতে রান্না বান্না হয় না। এখন এখানে ভক্ত মুরিদ দর্শনার্থীরা দান করে থাকনে। মাজারের দক্ষিণদিকে গ্রীলঘেরা তারকা খচিত ছোট্ট ঘরটি শাহজালালের চিল্লাখানা। স্থানটিমাত্র দু’ফুট চওড়া। কথিত আছে- হযরত শাহজালাল এই চিল্লাখানায় জীবনের ২৩বছর আরাধনায় কাটিয়েছেন। দরগার পাশ্ববর্তী মুফতি নাজিমুদ্দিন আহমদেরবাড়িতে হযরত শাহজালালের তলোয়ার ও খড়ম সংরক্ষিত আছে। প্লেট ও বাটিসংরক্ষিত আছে দরগাহ’র মোতওয়াল্লির বাড়িতে।
সিলেট শহরে থাকার আবাসিক হোটেল:
১।হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল (বন্দর, শিশুপার্কের কাছে): ০১৭৩১৫৩৩৭৩৩, +৮৮০৮২১২৮৩৩৪০৪২।
২। হোটেল নির্ভানা ইন (রামের দিঘির পাড়, মির্জা জাঙ্গাল, সিলেট): +৮৮০৮২১২৮৩০৫৭৬, ০১৭৩০০৮৩৭৯০, ০১৯১১৭২০২১৩, ০১৭১১৩৩৬৭৬১৩।
৩। হোটেল স্টার প্যাসিফিক (ইস্ট দরগাহ গেইট): ০১৭১৩৬৭৪০০৯, ০১৯৩৭৭৭৬৬৩৩, ০৮২১-২৮৩৩০৯১৪।
৪। হোটেল অনুরাগ (ধোপা দীঘি নর্থ): ৭১৫৭১৭, ৭১৪৪৮৯, ০১৭১২০৯৩০৩৯৫।
৫। সুরমা ভ্যালি গেস্ট হাউস (জেলা প্রশাসক/পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পাশে): ০১৭১৬০৯৫৮৩৬
৬। হোটেল উর্মি: হযরত শাহজালাল (র: ) মাজার শরীফ পূর্ব দরগাহ্ হেইট, সিলেট, ফোন: ০৮২১-৭১৪৫৬৩, ০১৭৩৩১৫৩৮০৫
৭। জিন্দাবাজার, সিলেট, ফোন: ০৮২১-২৮৩২১৯৭, ০১৭১৭০২০৫০৫,
৮। এক্সোটিকা রেস্টুরেন্ট, হোটেল সুপ্রীম, জাফলং রোড, মিরাবাজার, মোবাইল-০১৭১১১৯৭০১২,
কিভাবে যাওয়া যায়: সিলেট রেল স্টেশন অথবা কদমতলী বাস স্ট্যান্ড এ নেমে রিকশা বা সিএনজি অটোরিকশাযোগে মাজারে যাওয়া যায়। রিকশা ভাড়া ২০-২৫ টাকা, সিএনজি ভাড়া ৮০-১০০ টাকা।সুরমা নদী পার হয়ে মূল শহরে এসে মাজার এ পৌছাতে হয়। পর্যটকরা রিক্সা অথবা সিএনজি যোগে যেতে পারেন। ভাড়া ৩০-৫০/- টাকা