পেনিসিলিন কে আবিষ্কার করেন কত সালে
পেনিসিলিন এর কাজ কি
সব পেনিসিলিন বিটা-ল্যাক্টাম অ্যান্টিবায়োটিক এবং ব্যাকটেরিয়া বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়, সাধারণত গ্রাম-ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্ট ইনফেকশনের চিকিত্সায় এর কার্যকারিতা ভালো। স্ট্রেপ্টোকক্কাল সংক্রমণ, স্কারলেট জ্বর, মৃদু এরিসেপালস, বিটা-হিমােলাইটিক স্ট্রেপটোকক্কাস দ্বারা সৃষ্ট হৃদপিণ্ডের মাংসপেশীর প্রদাহ, নিউমােনিয়া এই সকল সংক্রমন এর জন্য পেনিসিলিন ব্যবহার হয়। ব্যাক্টেরিয়ার কোষপ্রাচীরের পেপটাইডোগ্লাইকেন সংশ্লেষণ বন্ধ করার মাধ্যমে পেনিসিলিন কাজ করে থাকে।
ফেনোক্সাইমিথাইল পেনিসিলিন ব্যাকটেরিয়া কোষের ঝিল্লির অভ্যন্তরীণ পৃষ্ঠে ট্রান্সপেপ্টিডেসকে বাঁধাই এবং নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে পেপটিডোগ্লাইকান উৎপাদনের চূড়ান্ত ক্রস-লিংকিং পর্যায়ে বাধা দেয়, এইভাবে ব্যাকটেরিয়াল কোষ প্রাচীর সংশ্লেষণকে বাধা দেয়।
ব্যাকটেরিয়া কোষ প্রাচীরের ভিতরে অবস্থিত নির্দিষ্ট পেনিসিলিন-বাইন্ডিং প্রোটিন (PBPs) এর সাথে আবদ্ধ হয়ে, ফেনোক্সিমিথাইল পেনিসিলিন ব্যাকটেরিয়া কোষ প্রাচীর সংশ্লেষণের তৃতীয় এবং শেষ পর্যায়ে বাধা দেয়। কোষ লাইসিস তারপর ব্যাকটেরিয়া কোষ প্রাচীর অটোলাইটিক এনজাইম যেমন অটোলাইসিন দ্বারা মধ্যস্থতা করা হয়; এটা সম্ভব যে ফেনোক্সিমিথাইল পেনিসিলিন একটি অটোলাইসিন ইনহিবিটারে হস্তক্ষেপ করে।
এটি কিছু সংবেদনশীল জীবের বিরুদ্ধে কম সক্রিয় হতে পারে, বিশেষ করে gm-ve ব্যাকটেরিয়া। এটি হালকা থেকে মাঝারি সংক্রমণের জন্য উপযুক্ত।
পেনিসিলিন খাওয়ার নিয়ম
মনে রাখবেন সকল ঔষুধ খাওয়ার একটি নিদিষ্ট নিয়ম আছে। পেনিসিলিন জাতীয় ঔষধ খাওয়ার একটি নিয়ম আছে। নিয়ম অনুযায়ী পেনিসিলিন সেবন না করলে মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন। যে কোন সমস্যার জন্য নিজ থেকে পেনিসিলিন না খাওয়ায় উত্তম। পেনিসিলিন খেতে হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরমর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিত।
পেনিসিলিন একটি নিদিষ্ট দিন ও পরিমান মত সেবন করতে হয়। পেনিসিলিন এর ডোজ কমপ্লিট না করলে ঐ রোগের ব্যাকটেরিয়া দ্বিগুণ শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসে তখন পেনিসিলিন অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ কাজ করতে চাই না। সুতরাং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরমর্শ নিয়ে পেনিসিলিন নিদিষ্ট ডোজ খেতে হবে।