দ্বীপচর পুটনির দ্বীপ ভ্রমণ গাইড এবং ভ্রমণ খরচ সম্পর্কে জেনে নিন।

পুটনির দ্বীপ সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ এ পরেছে। বাংলাদেশের নতুন দেখা পাওয়া এই পুটনি আইল্যান্ড অপর নাম “বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড”।নব্বই দশকের শুরুর দিকে (১৯৯২ সালে) রামপালের জেলে মালেক ফরাজি আরও দুই সঙ্গীসহ হিরণপয়েন্টের দক্ষিণে বঙ্গপোসাগরে নতুন জেগে উঠা একটি দ্বীপ আবিষ্কার করেন। এটি দুবলার চর থেকে প্রায় ২৫ কিঃমিঃ এবং হিরণপয়েন্ট থেকা প্রায় ১০ কিঃমিঃ দক্ষিণে অবস্থিত। দ্বীপটির প্রায় ১০ কিঃমিঃ পশ্চিমে অবস্থিত পুটনির দ্বীপ। দ্বীপটি প্রথম অবস্থায় জেলেদের নিকট পুটনির চর নামে পরিচিতি লাভ করে। দ্বীপটি লম্বায় প্রায় ৪ কিঃমিঃ এবং প্রস্থে প্রায় ২ কিঃমিঃ আর আয়তন প্রায় ৮ বর্গ কিঃমিঃ। দ্বীপটি ত্রিকোণাকৃতির আর এর চারিদিকে প্রায় ৮ – ১০ কিঃমিঃ সমুদ্র সৈকত রয়েছে। জেলে মালেক ফরাজি ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রেমিক। ২০০৪ সালে তিনি দ্বীপটিতে ‘বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড’ নামে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন। সেই থেকে এর নাম হয়ে যায় বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড। এটি মংলা বন্দর থেকে ২২০ কিঃমিঃ দক্ষিণে অবস্থিত। হিরণপয়েন্ট থেকে জাহাজে দ্বীপটিতে পৌছুতে সময় লাগে প্রায় ২ ঘন্টা।

পুটনির দ্বীপ ভ্রমণ

বিকালে হিরণপয়েন্ট থেকে যাত্রা শুরু করে আমরা বঙ্গবন্ধু দ্বীপে পৌছি সন্ধ্যার আগে। বঙ্গবন্ধু দ্বীপে আমরা যা দেখেছিঃ
– দ্বীপের চারিদিকে সমুদ্রের স্বচ্ছ নীলজল
– নরম বালুর বিচ
– বিভিন্ন ধরনের ফার্ণ ও লতাগুল্ম
– নানা ধরনের গাছপালা
– ছনবন
– নানা জাতের পাখি
– মনোমুগ্ধকর সূর্যাস্ত আর
– লাল কাঁকরা।
পুটনির দ্বীপ
দ্বীপটিতে কচ্ছপও দেখতে পাওয়া যায়। হরিণও নাকি আছে, যদিও আমরা দেখা পাই নি। জাহাজের লোক ও বনরক্ষীদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম হরিণ আসলো কিভাবে! তারা উত্তর দিল সাঁতার কেটে এসেছে। হরিণ যেহেতু আছে, বাঘও এক সময় চলে আসতে পারে। বাঘ হরিণের চেয়ে বহুগুণে দক্ষ সাতারু। আর ছনবন হল বাঘের প্রিয় জায়গা।
বঙ্গবন্ধু দ্বীপ সমুদ্র থেকে প্রায় দুই মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এখানে কোন চোরাবালির সন্ধান পাওয়া যায় নি। দ্বীপটির আশেপাশে কোন মানববসতি না থাকায় চারিদিকে সুনসান নীরবতা আর প্রচুর শীতল বাতাস।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম স্যার ফেব্রুয়ারী ২০১৭ ইং সালে বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞানভিত্তিক অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে।
থাকা-খাওয়া
থাকা-খাওয়ার কোন সুযোগ সুবিধা নাই। সকালে গিয়ে বিকেলে ফিরতে হবে অথবা ক্যাম্পিং করতে হবে। এছাড়াও ১০ কেবিনের জাহাজ আছে, থাকা খাওয়া সহ ৫০০০-৫৫০০ পরবে ২ রাত ২ দিনে।

পুটনি দ্বীপ,বঙ্গবন্ধু দ্বীপ কোন জেলায়,বঙ্গবন্ধু দ্বীপ কোথায় অবস্থিত,বঙ্গবন্ধু দ্বীপের অবস্থান কোথায়,বাংলাদেশের দ্বীপ কয়টি,বঙ্গবন্ধু মানমন্দির,বাংলাদেশের নতুন দীপ,বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট,birbangla.com,

 

Leave a Comment