আজ থেকে বিশ বছর পর আপনি এই ভেবে হতাশ হবেন যে,আপনার পক্ষে যা যা করা সম্ভব ছিল তা করতে পারেননি। তাই নিরাপদ আবাস ছেড়ে বেরিয়ে পড়ুন। আবিষ্কারের জন্য যাত্রা করুন, স্বপ্ন দেখুন আর শেষমেশ আবিষ্কার করুন। — মার্ক টোয়েন
মানুষ ভ্রমণ পিপাসু।অজানাকে জানতে এবং অদেখাকে দেখতে মানুষ পাড়ি জমায় দূর দূরান্তে।কত সময়, কত টাকাই না খরচ করে শুধুমাত্র অজয় কে জয় করার নিমিত্তে।দূরের সৌন্দর্য ভোগ করতে গিয়ে সে ভুলেই যায় নিজ দেশের কথা।হয়ত নিজ দেশেই রয়েছে এমন কিছু যা তার চোখে পরে নি,কিন্তু সেটার তাৎপর্য আরো বৃহৎ আরো বিস্তৃত। তাই তো বিজ্ঞনি মার্ক টোয়েন তার ঊক্তিতে রেখে গেছেন সেই আক্ষেপ এর ছাপ।
আজ থেকে বিশ বছর পর আপনি এই ভেবে হতাশ হবেন যে,আপনার পক্ষে যা যা করা সম্ভব ছিল তা করতে পারেননি। তাই নিরাপদ আবাস ছেড়ে বেরিয়ে পড়ুন। আবিষ্কারের জন্য যাত্রা করুন, স্বপ্ন দেখুন আর শেষমেশ আবিষ্কার করুন।
নীল দিগন্ত বান্দরবান
বান্দরবান থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে থানচি উপজেলার জীবন নগর এলাকায় অবস্থিত নীলগিরি। নীলগিরি থেকে প্রায় ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে ‘নীল দিগন্তে’ ‘নীল দিগন্ত’ আবস্থিত। নীল দিগান্তে সুন্দর পর্বত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের দ্বারা নির্মিত এই পর্যটন কেন্দ্রটি থেকে দেশের সর্বোচ্চ পর্বত, কিকার্ডাডং এবং তাজডাডাঙ্গ রেঞ্জগুলি দেখা যাযসাপ্রায় সাড়ে ৩ একর জায়গা নিয়ে পাহাড়চূড়ায় গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্রটি। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৭০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই পর্যটন কেন্দ্রটি পাহাড়ি সৌন্দর্যের এক বিশাল রাজ্য।এখানে আরো দেখা যায় বাইরে দিগন্তের সবুজ পাহাড় এবং মেঘ-বৃষ্টি-আবর্তন এখানে দেখা যাবে
কি ভাবে যাবেনঃ ঢাকা টু বান্দরবান বিভিন্ন বাস পাওয়া যায় । প্রতিদিন আরো অনেক এসি বা লোকাল বাস পাওয়া যায় ।রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে সরাসরি বান্দরবানে যাওয়া যায়।ঢাকার কলাবাগান,সায়দাবাদ,ফকিরাপুল,নর্দা,কমলাপুর থেকে ইউনিক পরিবহন,ডলফিন পরিবহন,হানিফ পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, সেন্টমার্টিন পরিবহন ও বিআরটিসির নন এসি ও এসি বাস যায়। ভাড়া নন এসি ৫৬০ টাকা ও এসি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা।চট্রগ্রাম শহরের বহদ্দারহাট এলাকা থেকে বিভিন্ন পরিবহনের বাস সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বান্দরবানে চলাচল করে। ভাড়া ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
বান্দরবান শহর থেকে নীল দিগন্ত যাওযার উপায়ঃবান্দরবান শহর থেকে থানচি উপজেলার জীবননগর যাওয়ার জন্য ভাড়ায় পাওয়া যায় সিএনজি, চাঁদের গাড়ি ও জিপ।সবচেয়ে ভালো হয় রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে গেলে। এতে সহজেই আপনি আশেপাশের আরও কিছু জায়গা ভালভাবে ঘুরে দেখতে পারবেন। বান্দরবান জীপ স্টেশন থেকে ৩০০০ থেকে ৫০০০ টাকা ভাড়ায় যাওয়া আসার গাড়ি পাওয়া যায়। চাঁন্দের গাড়ী গুলোতে সাধারণত ১২-১৪ জন বসে যাওয়া যায়, ল্যান্ডক্রুজার টাইপ জীপ গুলোতে বসা যায় ৭ থেকে ৮ জন, আর ছোট জীপ গুলোতে ৪-৫ জন বসা যায়।
কোথায় থাকবেনঃ নীল দিগন্ত পর্যাটন কেন্দ্রে থাকার কোন ব্যাবস্থা । বান্দরবান শহরের আশপাশে অনেক হোটেল , রিসোট এবং কটেজ রয়েছে।বান্দরবান শহরে যে সকল হোটেল , রিসোট এবং কটেজ রয়েছে তার মধ্যে হলঃ
হোটেল হিলটনঃ বান্দরবান শহরের বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এই হোটেল প্রতি রুম ৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা।
হোটেল হিল ভিউঃ বান্দরবান শহরের বাস স্ট্যান্ডের এর পাশে হোটেল প্রতি রুম ৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা।
হোটেল থ্রী স্টারঃ এটি বান্দরবান বাস স্টপের পাশে অবস্থিত। নীলগিরির গাড়ী এই হোটেলের সামনে থেকে ছাড়া হয়। এটি ৮/১০ জন থাকতে পারে ৪ বেডের এমন একটি ফ্ল্যাট। প্রতি নন এসি ফ্ল্যাট-২৫০০ টাকা, এসি-৩০০০ টাকা। বুকিং ফোন: থ্রী স্টার এবং ফোর ষ্টার হোটেল মালিক একজন, মানিক চৌধুরী-০১৫৫৩৪২১০৮৯ / ০১৮১৩২৭৮৭৩১।
হোটেল ফোর স্টারঃ বান্দরবান শহরে অবস্থিত হোটেল ফোরস্টার। এখানে এসি এবং নন এসি দু রকমের রুম রয়েছে। হোটেলের প্রতিটি কক্ষে রয়েছে টেলিভিশন। ফোন-০৩৬১-৬২৪৬৬।
হোটেল প্লাজাঃ বান্দরবান শহরের বাস স্ট্যান্ড থেকে পাচ মিনিট সামনে হাটলেই পাবেন হোটেলটি।রুম ভাড়া ৬০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা।
হোটেল রিভার ভিউঃ বান্দরবান শহরের সাঙ্গু নদীর তীরে অবস্থিত। রুম ভাড়া ৬০০ থাকা ২০০০ টাকা।
এখানে জেলা প্রশাসন পরিচালিত একটি সুন্দর রেস্ট হাউজ রয়েছে, যেখানে রাত্রিযাপন করা যায়। রেস্ট হাউজটি দৈনিক ভিত্তিতে ভাড়ায় পাওয়া যায়।