বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহওম দ্বীপ ভোলা জেলায় অবস্থিত একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং বন্যপ্রাণের অভয়ারণ্য হলো চর কুকরি মুকরি। ভোলা শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার। বঙ্গোপসাগরের উপকন্ঠেমেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর মোহনায় কয়েকশ বছর আগে জেগে ওঠা চর কুকরি-মুকরিতে এই বনভূমির অবস্থান।
চর কুকরি মুকরি ভ্রমণ গাইড
যেভাবে যাওয়া যায়: চর কুকরি মুকরিতে যেতে নদীপথ হচ্ছে সবচেয়ে সহজ পথ। নদীপথে যাতায়াতে খরচ ও শারীরিক কষ্ট কম। আমরা দুইজন ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ থেকে বিকাল ৫টার লঞ্চ তাসরিফ-৩ তে উঠি। যেটা ভোলা বেতুয়া লঞ্চ ঘাট পর্যন্ত যায়। ডেকের ভাড়া ২০০ টাকা। পরদিন ঘাটে নেমে বাইকে করে চরফ্যাশন বাজার পর্যন্ত যায় দুজনে ৮০ টাকায়। চরফ্যাশন বাজারে নাস্তা করে প্রথমে জ্যাকব টাওয়ারটি দেখে দক্ষিণ আইচা যাওয়ার জন্য বাসে উঠে পড়ি। ভাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা। সময় লাগবে ৩০ মিনিট। দক্ষিণ আইচা নেমে ১০ টাকা করে অটোতে চলে আসি কচ্ছপিয়া ঘাটে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে তথ্যটি হলো কচ্ছপিয়া ঘাট থেকে প্রতিদিন দুপুর ১২.৩০টায় এবং বিকাল ৪.৩০ টায় চর কুকরি মুকরির উদ্দেশ্যে খেয়া ছেড়ে যায়। কেউ চাইলে যে কোনো সময় স্পিডবোটেও যেতে পারবে। ভাড়া জনপ্রতি ১৫০ টাকা। কিন্তু স্পিডবোটে গেলে আসল সৌন্দর্য টা উপভোগ করতে পারবেন না। যেটা কিনা শুধুমাত্র খেয়াই সম্ভব। কুকরি মুকরি থেকে ফেরার পথে সকাল ৯টাই এবং দুপুর ২টাই খেয়া ছাড়ে কচ্ছপিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে। ফেরার জন্য সকাল ৯ টাই খেয়াতে উঠা ভালো। কেননা তাহলে আপনি বেতুয়া লঞ্চ ঘাট থেকে বিকাল ৫ টার ঢাকা যাবার লঞ্চ তাসরিফ, ফারহান, বা কর্নফুলী ধরতে পারবেন।