ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার যাবতীয় আপডেট তথ্য সমূহ দেখুন ২০২৪

বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর অনেকে টুরিস্ট ভিসায় ইন্ডিয়া ঘুরতে যান। বাংলাদেশি ভ্রমণপিপাসুদের কাছে অন্যতম পছন্দের গন্তব্য ভারত। মূলত যাতায়াত ব্যবস্থা ও খরচ তুলনা মূলক কম হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার বাংলাদেশী টুরিস্ট ভিসায় ভারতে ঘুরত যায়। আয়তনে পৃথিবীর বৃহত্তম দেশগুলোর মধ্যে সপ্তম অবস্থানে থাকা এই দেশটি প্রাকৃতিক নিদর্শনের সবটুকুই যেন বক্ষে ধারণ করে আছে। বিশ্বের সর্বাধিক পর্যটক ভ্রমণকারী দেশের মধ্যে ভারত অন্যতম, সুতরাং এই দেশের টুরিস্ট পেতে হলে আপনাকে সকল তথ্য সঠিক ভাবে দিতে হবে।

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা আপডেট 2024

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার সকল প্রকার আপডেট 2023 বাংলাদেশী টুরিস্টদের জন্য সকল তথ্য গুলি তুলে ধরা হল। ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার আপডেট তথ্যের মধ্যে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র, ভিসার কত খরচ, ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগতে পারে সকল গুরুত্ব পূর্ণ তথ্য আমাদের অনুচ্ছেদে তুলে ধরা হয়েছে। ভিসা পেতে সকল তথ্য সঠিক ভাবে দিতে হবে, ভুল তথ্য উপস্থাপন করলে ভিসা পেতে কঠিন হয়ে যাবে।

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে হলে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে। আপনি টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে চাইলে যেসব কাগজপত্র জমা দিতে সকল তথ্য গুলি আপনাদের সুবিধার জন্য সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হল

বৈধ পাসপোর্টঃ ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে হলে আপনাকে প্রথমে একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। পাসপোর্ট ছাড়া আপনি কোন দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না। বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন মেয়াদে ই পাসপোর্ট প্রদান করছে।

জাতীয় পরিচয় পত্রঃ ইন্ডিয়ান ভিসার আবেদন করতে হলে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে। তবে যাদের জাতীয় পরিচয় পত্র নেই তাদের জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি জমা দিতে হবে।

বিলের কাগজঃ বিদ্যুৎ বিলের একটা কপি ইন্ডিয়ান ভিসার আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। তবে বিদ্যুৎ বিল নিজের নামে না থাকলেও আপনার পিতা, মাতার নামে থাকলেও আবেদন করতে পারবেন। তবে বিদ্যুৎ বিলের কাজগ না থাকলে ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

করোনা টিকা সনদঃ ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন করতে যে সকল কাজগ পত্র প্রয়োজন এর মধ্যে করোনার টিকা সনদ অন্যতম। করোনা মহামারীর কারণে সারা পৃথিবী থমকে গিয়েছিল। করোনা স্বাভাবিক হলে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে তবে অবশ্যই করোনার দুই ডোজ টিকা নেওয়া থাকতে হবে। আবেদন করার সময় করোনার সনদের ফটোকপি জমা দিতে হবে।

ছবিঃ ইন্ডিয়ান ভিসার আবেদন কারীর সদ্য তোলা ২x২ ইঞ্চি রঙ্গিন ছবি জমা দিতে হবে। ছবি অবশ্যই স্কয়ার ও সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর হতে হবে। মুখ স্পষ্ট ভাবে ছবি তুলতে হবে।

পেশাগত প্রমাণঃ আবেদনকারী যে পেশায় কর্মরত আছে সেই পেশার প্রত্যয়ন পত্র জমা দিতে হবে। সরকারি হলে  GO/ অফিসের প্রত্যয়ন পত্র, বেসরকারি হলে NGO সার্টিফিকেট প্রদান, শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট আইডি ও ব্যবসায়ীদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স জমা দিলেই হবে।

ব্যাংক স্টেটমেন্টঃ ইন্ডিয়ান আবেদনের জন্য একটি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় হল ব্যংক স্টেটমেন্ট। আর্থিক সচ্ছলতা প্রমাণ করার জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে। বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংকের শেষ ৬ মাসের হিসাবের নথি জমা দিতে হবে। ব্যাংক একাউন্টে সর্বনিম্ন ২০০০০ টাকা জমা রাখতে হবে।

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার খরচ

অনলাইনে ভিসার আবেদন করার পর আবেদন ফি জমা দিতে হবে। আপনি নিজেই আবেদন ফি জমা দিতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন আগে ভিসা ফি আইভ্যাকে (ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার) জমা দেয়া লাগতো, কিন্তু এখন সেটা অনলাইনেই দিতে পারবেন। ৮০০ টাকা ভিসা প্রসেসিং ফির সঙ্গে ব্যাংক বা বিকাশ চার্জ দিতে হয়। অফলাইনে ফি দিতে হলে বাংলাদেশের যে কোনো আইভ্যাকে বা তার আশেপাশে এই ফি জমা দেয়া যাবে।

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা পেতে কতদিন লাগে?

সকল কাগজ পত্র সহ নিকটবর্তী ইন্ডিয়ান ভিসা সেন্টারে আবেদন ফরম সকল কাগজ পত্র ও পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। ভারতীয় অ্যাম্বেসিতে কাগজপত্র জমা দেয়ার পর একটা টোকেন দেওয়া হবে। আবেদন ফরম জমা দেওয়ার সময় একটি মোবাইল নাম্বার দিতে হয় , আপনার ভিসা হয়ে গেলে উক্ত মোবাইল নাম্বারে এসএমএস যাবে। ভিসার সকল কার্যক্রম শেষ হয়ে আপনার হাতে পেতে ২০ থেকে ২৫ দিন কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৩০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

ভিসা নেয়ার জন্য আবেদনকারীকেই সশরীরে যেতে হবে। তবে কোন কারণে স্বশরীরে যেতে না পারলে ভিসা সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করে সকল নির্দেশনা মেনে ভিসা নিতে হবে।

Leave a Comment