কলকাতা কিসের জন্য বিখ্যাত? বিখ্যাত জায়গা ও বিখ্যাত খাবার জেনে নিন!

কলকাতা হল পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী ও সারা ভারতের মধ্যে সংস্কৃতির রাজধানী বলা হয়। নাগরিক সৌন্দর্যে সে তিলোত্তমা নগরী বেশি পরিচিত লাভ করেছ।সময়ের সঙ্গে আধুনিকতার ছন্দময় মেলবন্ধন ঘটেছে এই শহরে। ঐতিহাসিক ব্রিটিশ স্থাপনা আর ব্রিটিশ উপমহাদেশীয় অভিব্যক্তিতে সমৃদ্ধ। কলকাতা কিসের জন্য বিখ্যাত, বিখ্যাত সব জায়গা, বিখ্যাত সব খাবার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

প্রাশ্চাত্য শিল্পের সঙ্গে প্রাচীন শিল্পশৈলীর অপূর্ব মিশ্রণ।  পরিচিত তথ্যের বাইরেও কলকাতার ঐতিহ্য আরও বিস্তৃত। এই প্রাচীন শহরে অনেক বিখ্যাত জায়গা ও কলকাতা শহর জুড়ে আছে নানা রকম খাবার। বাংলাদেশ তথা অনেক জায়গা থেকে এই শহরের। যে সকল পর্যটক কলকাতা শহরের বিখ্যাত জায়গা ও বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা নিতে চান তারা আমাদের অনুচ্ছেদটি দেখতে পাড়েন।

কলকাতা কিসের জন্য বিখ্যাত?

কলকাতা শহরটি হুগলি নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত। কলকাতার নিজস্ব ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে। কলকাতাকে আলাদাভাবে বিখ্যাত করেছে কিছু কারণে। মাতৃভূমি, দুর্যোগ এবং মাদার তেরেসার অনুপ্রেরণা, কলকাতার আর সাংস্কৃতিক রাজধানী হয়ে উঠছে না। এটি একটি স্পন্দনশীল এখনও ঘনিষ্ঠ শহর, প্রাণবন্ত আত্মা পূর্ণ এবং ভাঙা ভবন। উপরন্তু, কলকাতা ভারতের একমাত্র শহর যেখানে ট্রাম কার নেটওয়ার্ক রয়েছে, যা তার পুরোনো বিশ্বমুহূর্তে যোগ করে।

কলকাতা প্রিচিন ও মধ্য যুগের অনেক জিনিষের সংরক্ষণের জন্যে বিখ্যাত।যেমন –

  • ট্রাম
  • হাওড়া ব্রিজ
  • ভিক্টরিয়াল মেমরিয়াল
  • স্বাধিনাতা সংগ্রামে অংশ গ্রহনের বিভিন্ন রাজনতিক নেতার বাড়ি
  • বিভিন্ন সাহিত্যিকের বাড়ি
  • অসংখ্য বইয়ের দকান ও সাহিত্যিকের আড্ডার জন্যে কপি হাউস।

কলকাতার বিখ্যাত জায়গা

কলকাতা যেমন ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ তেমনি এই শহরের অনেক নাম করা জায়গা আছে।পুরনো ঐতিহ্যের সাথে আধুনিকতার ছোঁয়ার যুগলবন্দী, শহর কলকাতার অলিগলি জুড়ে এক অকৃত্রিম ভালোবাসা, কলকাতার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান যেখান গেলে মানুষের মন আনন্দিত হয়ে ওঠে। এই শহরকে অনেকে সকল শহরের রানী বলে আখ্যায়িত করেছে।  কলকাতায় অনেক বিখ্যাত জায়গা আছে যেগুলো সম্পর্কে আপনার এখানে যাওয়ার আগে জেনে নেওয়া উচিত।

১। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল

ইংরেজ আমলে রানী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতির উদ্দেশ‍্যে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল প্রতিষ্ঠিত হয়। শ্বেত পাথরের তৈরি স্মৃতিসৌধটি কলকাতার অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ।  স্মৃতিসৌধটি 1906-1921 সালে নির্মিত হয়েছিল। এই স্মৃতিসৌধটি রাতে আলোকিত হয়, তখন এটি অত্যাশ্চর্য দৃশ্য প্রদান করে।  এর ভিতরে রয়েছে ২৫ টি গ্যালারি, চারিপাশে রয়েছে বিশাল বাগান। ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের নির্মাণকার্য শুরু হয় ১৯০৬ সালে এবং  সৌধটির উদ্বোধন হয় ১৯২১ সালে।

২। ফোর্ট উইলিয়াম

ফোর্ট উইলিয়াম হল কলকাতার সবচেয়ে প্রাচীনতম একটি ইমারত। এই বিল্ডিং ইংরেজ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।কলকাতা শহরের হুগলী নদীর তীরে অবস্থিত ফোর্ট উইলিয়াম একটি দুর্গ। ১৬৯৬ সাল থেকে ১৭০৬ সালের মধ্যে ফোর্ট উইলিয়ামটি নির্মাণ করা হয়। প্রাচ্যে ব্রিটিশরাজের সামরিক শক্তির সবচেয়ে বড় নিদর্শন এইবিশাল অট্টালিকা কলকাতার একটি আকর্ষণীয় জায়গা।

৩। ন্যাশনাল লাইব্রেরি

ন্যাশনাল লাইব্রেরিটি কলকাতার সবচেয়ে জমকালো এবং আড়ম্বরপূর্ণ এলাকাগুলির মধ্যে একটি আলিপুরের বেলভেডের এস্টেটে অবস্থিত। ন্যাশনাল লাইব্রেরি ১৯৫৩ সালে পুনঃ স্থাপন হয় করা হয়। ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে অন্তত ২.২ মিলিয়ন বই সংরক্ষিত করা আছে। ভারতের বৃহত্তম লাইব্রেরি এবং এটি ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীনে পড়ে।

৪।কফি হাউস

কলেজস্ট্রিটে প্রেসিডেন্সি কলেজের উল্টোদিকে কফি হাউস। কফি হাউজে গেলে আপনি দেখতে পাবেন পুরনো একটি ভবনের দোতলায় সব বয়সী, সব শ্রেণীপেশার মানুষের আড্ডা। কফি হাউজে গেলে আপনার মান্নাদের সেই বিখ্যাত গানের কথা মনে পড়বে। তবে কলকাতার অন্যান্য কফি হাউজের তুলনায় কম দামে কফি খেতে পারবেন।

৫। বোটানিক্যাল গার্ডেন

হাওড়া শিবপুর এ অবস্থিত একটি ঞ্তিহাসিক উদ্ভিদ উদ্যান বোটানিক্যাল গার্ভেন। শিবপুরে হুগলী নদীর তীরে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে। এইউদ্যানে মোট ১৪০০ প্রজাতির প্রায় ১৭ হাজারটি গাছ রয়েছে এই উদ্যানে। ২৭৩ একরআয়তনবিশিষ্ট এইউদ্যানটি শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন নামে হাজারো পর্যটকের মন জয় করছে।

৬। হাওড়া ব্রিজ

হাওড়া সেতু বিশ্বের দীর্ঘতম সেতুর অন্যতম। ব্রিটিশ আমলে হুগলি নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। রবীন্দ্র সেতু” নামে পরিচিত কলকাতা বাসীদের কাছে প্রসিদ্ধ চমৎকারশৈল্পিক কারুকার্ধময় একটি ব্রিজ। সেতুটি কলকাতা ও হাওড়া শহরের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে। সেতুর পাশে রয়েছে লঞ্চঘাট যেখান থেকে নৌকায় উপভোগ করতে পারেন হুগলি নদীর সৌন্দর্য। এটি রবীন্দ্র সেতু হিসেবেও পরিচিত। হুগলি নদীর উপর অবস্থিত কলকাতা ও হাওড়া শহরের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী একটি সেতু।

৭। আলিপুর চিড়িয়াখানা

আলিপুর চিড়িয়াখানা সমগ্র ভারতের মধ্যে একটি প্রাচীন চিড়িয়াখানা। ১৮৭৬ সালে এই চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আয়তন ৪৫ একর। ১৮৭৬ সালে ১লা জানুয়ারী প্রিন্স অফ ওয়েলস সপ্তম এডওয়ার্ড কলকাতার আলিপুরে এই চিড়িয়াখানার উদ্বোধন করেন।এই চিড়িয়াখানা অথবা পশু উদ্যান সেই সময় এতটাই জনপ্রিয় হয়, যে লন্ডন চিড়িয়াখানাও এখান থেকে বেশ কিছু জিনিস অনুকরণ করে।

৮। সায়েন্স সিটি

সায়েন্স সিটি ১ জুলাই, ১৯৯৭ সাল থেকে চালু হয়েছে। পূর্ব কলকাতার ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাস ও জে বি এস হ্যালডেন এভিনিউ এর সংযোগস্থলে ৫০ একর জমির ওপর অবস্থিত সায়েন্সসিটি। এটি একটি বিখ্যাত পর্যটন স্থান যেখানে স্পেস থিয়েটার, ন্যাচারাল সায়েন্স পার্ক, 3D পারফরম্যান্স, ইভোলিউশন থিম পার্ক, টাইম মেশিন, ডাইনোসর কমপ্লেক্স এবং আরও অনেক কিছু রয়েছে।

৯। সল্টলেক সিটি

কলকাতার বিখ্যাত স্থানগুলির মধ্যে সল্টলেক সিটি, বা বিধাননগর অন্যতম একটি দেখার মতো একটি জায়গা।  সেন্ট্রাল পার্কে আপনার দিন শুরু করতে পারেন, শহরের দ্বিতীয় বৃহত্তম খোলা সবুজ এলাকা। পার্কটি একটি বিশাল হ্রদের চারপাশে নির্মিত যেখানে আপনি বোটিং করতে যেতে পারেন। এটিতে অসীম বিস্তৃত সবুজ লন, থিমযুক্ত বাগান, বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ, প্রাণীজগত এবং জলের পাখি রয়েছে।

১০। কলকাতা ইকো পার্ক

কলকাতার রাজারহাটে অবস্থিত ৪৮০ একর আয়তনের উদ্যানটি ভারতের বৃহত্তম উদ্যান, এই পার্কের মধ্যে বিশাল জলাশয় আছে, মাঝখানে একটি দ্বীপ আছে, যেখানে খাবার রেস্তোরা ও থাকার হোটেল আছে। ইকো পার্কে মোট ছটি গেট আছে। চার নম্বর গেটের কাছে বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের প্রতিরূপ রয়েছে।

১১। ভারতীয় জাদুঘর

প্রায় ৮ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই জাদুঘর, সাতটি গ্যালারিতে মোট ৬  টি ভাগে শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, নৃতত্ব, ভূতত্ত্ব, প্রাণিবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা প্রভৃতি বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য সংগ্রহ গ্যালারিতে সুসজ্জিত রয়েছে। কলকাতার ভারতীয় জাদুঘর বিশ্বের সেরা ৯টি প্রাচীনতম জাদুঘরের মধ্যে রয়েছে।এটি ভারতের বৃহত্তম জাদুঘর এবং এখানে প্রাচীন জিনিসপত্র, বর্ম এবং অলঙ্কার, জীবাশ্ম, কঙ্কাল, মমি এবং পেইন্টিংয়ের মতো বেশ কয়েকটি প্রত্নবস্তু রয়েছে। এটিতে জীবাশ্ম, মুদ্রা, টেক্সটাইল, বিলুপ্ত প্রাণী প্রজাতি এবং আরও অনেক কিছুর জন্য উত্সর্গীকৃত বিভাগ রয়েছে।

১২। হোয়াইট টাউন

লর্ড ডালহৌসি ১৮৪৮ থেকে ১৮৫৬ সাল পর্যন্ত ভারত শাসন করার পরে পূর্বে ডালহৌসি স্কোয়ার নামে পরিচিত, বিবিডি বাগ কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক জেলা কলকাতার উল্লেখযোগ্য ব্রিটিশ যুগের অনেক ভবনের আবাসস্থল। ১৯ শতকের সেন্ট অ্যান্ড্রু চার্চ, ১৮ শতকের রাইটারস বিল্ডিং, গ্রীক-স্থাপত্য-অনুপ্রাণিত মেটকাফ হল, জেনারেল পোস্ট অফিস এবং টাউন হল। সাদা শহরের অঞ্চলে হাঁটা আপনাকে শহরের ঔপনিবেশিক ঐতিহ্য সম্পর্কে একটি অন্তর্দৃষ্টি দেয়। হোয়াইট টাউন চৌরঙ্গী এবং ডালহৌসি স্কোয়ারে অবস্থিত।

কলকাতার বিখ্যাত খাবার সমূহ

কলকাতার ঐতিহ্য যেমন বিখ্যাত তেমন সারা ভারতে মধ্যে কলকাতার খাবার গুলো অনেক বেশি প্রসিদ্ধ।  সবসময় নামী পরিচিত দোকান বা হোটেল রেস্তোরাঁ নয়, এরকম কত যে চেনা অচেনা খাবারের ঠিকানা পসরা সাজিয়ে আছে এ শহরের ফুটপাতে, ছোট ছোট হোটেলে, দোকানে, রাস্তার ধারে স্টলগুলোয়, তার ইয়ত্তা নেই। তাদের সবাইকে যে হাতের মুঠোয় ধরতে পেরেছি এরকম অসম্ভব দাবি করব না কখনও। সেইসব জানা অজানা বিভিন্ন খাবার থেকে কতগুলি সুস্বাদু খাবার উপস্থাপন করেছি।

১। রয়্যালের বিরিয়ানি

কলকাতার বিরিয়ানি অনেক খ্যাতি আছে। আপনি কলকাতায় অনেক বিরিয়ানির দোকান খুজে পাবেন তবে  রয়্যালের বিরিয়ানির তুলনাই আলাদা। প্রায় একশো বছর ধরে সুনামের সাথে ব্যবসা করছে পুরোনো এই রেস্তোরাঁ।  এখানে বিরিয়ানিই নয় এখানকার লাচ্ছা পরটা, মটন রেজালা বা মটন কোফতাও খেতে অনেক মজা ও নামকরা। লালবাজার থেকে চিৎপুর দিকে যেতে হাতের বাঁ দিকে পড়বে দ্য রয়্যাল রেস্তোরাঁ। রাত প্রায়ে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সেবা দিয়ে থাকে।

২। ফিশ ফ্রাই

মাছ বাঙ্গালির একটি জনপ্রিয় খাবার। মাছের তৈরি সকল প্রকার খাবার যেমন ফিশ ফ্রাই হোক বা ফিশ ফিঙ্গার কিংবা ফিশ কবিরাজি সব গুলিই আপনার জিভে জল এনে দিবে। ফিশ চপ, ফিশ পকোড়া এবং ফিশ ওরলির স্বাদও অতুলনীয়। কালীঘাট এবং লেকমার্কেট ফিশ ফ্রাই খেতে পারবেন এছাড়া আরও কিছু জায়গায় বিখ্যাত এই খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন।

৩। স্পঞ্জি রসোগোল্লা

রসোগোল্লার জন্য কলকাতা অনেক বিখ্যাত। বলা হয়ে রসোগোল্লার উৎপত্তি হয়েছে কলকাতায়। ১৯০৭ সালে হিরালাল ঘোষের তত্বাবধানে শুরু এই রসোগোল্লার। স্পঞ্জি রসোগোল্লা এখন জগৎ বিখ্য়াত। তুলতুলে রসোগোল্লায় রস চিপলেও ফুলে ওঠে নিমেষেই। এমনি রসোগোল্লার পাশাপাশি ওজনেও হাল্কা অনেকটাই। কলকাতায় এই রসোগোল্লার জুড়ি মেলা ভার।

৪। লুচি ও আলুরদম

কলকাতার খাবারের মধ্যে লুচি ও আলুরদম কদর বেশি। এখানকার লুচি ও আলুরদম খেলে যে কেউ এর প্রেমে পড়ে যাবে। অনেক খাবারের দোকানে সর্বাধিক বিক্রি হয় লুচি – আলুদম। লুচি অনেকটাই পুড়ির মতো যা আপনি হয়তো খেয়েছেন কিন্তু আলুদম সম্পূর্ণই দম আলুর বাঙালি উপস্থাপনা এই খাবারের জুড়ি মেলা ভার। কলকাতার প্রায় সব জায়গাতে এই খাবার পাবেন।

৫। প্যারামাউন্ট শরবত

১৯১৮ তে স্থাপিত প্যারামাউন্ট কলেজ স্কোয়ারের উল্টোদিকে অবস্থিত। কলকাতা ও এর আশে পাশের লোকের কাছে এই শরবত খুব জনপ্রিয়। অনেক বিখ্যাত লোক এই শরবতের স্বাদ নিতে এসেছে। বছর ধরে রাজনীতিবিদ , স্বাধীনতা সংগ্রামী , স্বর্ণযুগের ফিল্ম তারকা ইত্যাদি অনেকই প্যারামাউন্টে এসেছেন | জনপ্রিয় পানীয় হচ্ছে কোকা – মালাই, ডাবের শরবত , ম্যানগো মালাই , রোজ সিরাপ এবং তেঁতুলের সিরাপ এগুলির স্বাদ আপনিও নিতে পারেন|

৬। আরসালানের হালিম 
সারা কলকাতায় আরসালানের হালিমের অনেক কদর আছে। কলকাতা ছাড়াও অনেক দূর থেকে এখানে এসে হালিমের স্বাদ নিয়ে যায়। তবে রমজান মাসে এই হালিমের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। বিভিন্ন প্রকার মসলার উপকরনের সমন্বয়ের সুগন্ধি আপনার জিভে জ্বল এনে দিবে।
৭। পাও ভাজি, মায়রাম’স লর্ড সিনহা রোড
বর্তমান সময়ের একটি জনপ্রিয় খাবার হল পাও ভাজি। সারা ভারতের মত কলকাতায়ও এর চাহিদা বেশি। কলকাতায় আপনি বিভিন্ন জায়গায় পাও ভাজি পাবেন ,তবে মায়রামস লর্ড সিনহা রোডের পাও ভাজির একটু বেশি জনপ্রিয়। কলকাতার জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে পাও ভাজি অন্যতম।
৮।  জাইকা, পার্ক স্ট্রিটে কাঠি রোল
বিখ্যাত ‘কাঠি রোল’ প্রথম কলকাতায় আবিষ্কার হয়েছিল। সারা কলকাতায় কাঠি রোলের আলাদা চাহিদা আছে। জাইকার কাঠি রোল এখন প্রায় প্রতিটি শহরে খুঁজলেই দেখতে পাওয়া যাবে, পাতলা রুটিতে মোড়ানো সুস্বাদু স্টাফিংয়ের কৃতিত্বের এটিকে অসাধারণ করে তোলে।  নিউমার্কেটে নিজাম এবং বাদশাহ এবং পার্ক স্ট্রিটে কুসুম এবং হট কাঠি রোল খেয়ে দেখতে পারেন।
৯। ফুচকা
বলা হয় আপনি কলকাতায় গেলেন আর ফুচকা না খেয়ে থাকলে আপনার যাওয়াটাই অতৃপ্তি থেকে যায়। কলকাতায় সকল বয়সের কাছে ফুচকা আলাদা ভাবে জনপ্রিয়। সারা ভারতের মধ্যে কলকাতার ফুচকা বেশি জনপ্রিয়।কলকাতার রাস্তার খাবারের রাজা বলা যেতে পারে, কলকাতায় এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে ফুচকা পাওয়া যায় না ফুচকার সাথে চুরমুর আরেকটি খাবার হিসাবে সবার বেশি পছন্দ।
১০। কলেজ স্ট্রিটে তেলে ভাজা
কলকাতায় বিভিন্ন তেলে ভাজার জন্য একটা আলাদা সুনাম আছে।  এখানে বিভিন্ন প্রকার তেলে ভাজার মুখরোচক খাবার পাবেন তার মধ্যে বেগুনি থেকে ভাজা মাছ, ডিমের চপ থেকে শুরু করে মটন চপ সব কিছুই পাবেন এখানে, বিকাল থেকে শুরু হয়ে রাত অবধি দোকান খোলা থাকে এবং লোকেরা অর্ডার দেওয়ার জন্য এখানে রীতিমতো লড়াই করে থাকে।

Leave a Comment