ইট পাথর আর কংক্রিটে পরিপূর্ণ ঢাকা শহর। সুস্থভাবে অক্সিজেন নিয়ে নিঃশ্বাস ফেলার মতো জায়গা মেলাই ভার! বাতাসে কার্বন ড্রাই অক্সাইড ও সিসার পরিমাণই বেশি। একটু মুক্ত হাওয়া আর স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে ছুটির দিনে ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার অদূরে সাভারে গোলাপ গ্রাম লোকেশন বিরুলিয়া ইউনিয়নের সবাই ‘গোলাপ গ্রামে’ নামে ডাকে।
সাভার গোলাপ গ্রাম
যে গ্রামের কথা বলছি সেটা হলো, শাদুল্লাপুর। তবে এই ইউনিয়নের সাদুল্লাহপুর, শ্যামপুর, মোস্তাপাড়া গ্রামজুড়ে আছে গোলাপের রাজ্য। যতদূর চোখ যায়, শুধু গোলাপ আর গোলাপ। তাই এ গ্রামগুলো এখন ‘গোলাপ গ্রাম’ নামেই বেশি পরিচিত।এই গ্রামগুলোতে কর্মযজ্ঞ চলে সব সময় ই। এই গ্রাম কেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে অনেকের কর্মক্ষেত্র। আপনার পরিবার,বন্ধু নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এই উপভোগ্য গ্রাম থেকে, আর কিছু দারুণ সময় পার করুন।
গোলাপ গ্রাম কিভাবে যাওয়া যায়
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে মিরপুর ০১ এ চলে যেতে হবে। মিরপুর ১ থেকে দিয়াবাড়ি ঘাট। তারপর জনপ্রতি ২০ টাকা ভাড়ায় ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যেতে পারবেন সাদুল্লাহপুরে। চাইলে নৌকা বা ট্রলার রিজার্ভ করেও যেতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই দামাদামি করে নিবেন। সাদুল্লাহপুর নেমে অটো বা ইজি বাইকে করে চলে যাবেন শ্যামনগর , ঐ দিকটাই গোলাপ চাষ বেশি হয়। রিজার্ভ ভাড়া নিতে পারে ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। তবে ফেরার ক্ষেত্রে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। সন্ধ্যার পর ট্রলার বা নৌকা পারাপার হয় না।
অথবা গাবতলী যেতে পারেন, গাবতলি থেকে সাভার বাসস্ট্যান্ডের ওভারব্রিজের নিচে নামবেন। ওভারব্রিজ পার হয়েই বিরুলিয়া ইউনিয়নের রাস্তায় রিক্সা বা ইজি বাইকে করে চলে যেতে পারেন তুরাগ নদীর তীরে এই গোলাপ গ্রামে।
কি কি দেখবেনঃ
শুধু সাদুল্লাহপুর বা শ্যামনগর নয় কমলাপুর, বাগ্মীবাড়িতেও বেশ গোলাপ চাষ হয়। কৃষক ও শ্রমিক দুপুরের পর পরই গোলাপ সংগ্রহ ও বাজারজাত পক্রিয়া শুরু করেন। তারপর মোস্তাপাড়া ও শ্যামপুর ফুল বাজারে ফুলের হাট বসে প্রতিদিনই। বিভিন্ন জেলার পাইকার ব্যাবসায়ীরা এখানে এসে গোলাপ ক্রয় করে থাকেন।
তুরাগ পাড়ের ছোট্ট গ্রাম বিরুলিয়া, এই গ্রামের শেষ মাথায় কালের সাক্ষী ও ত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হয়ে দাড়িয়ে আছে জমিদার রজনীকান্ত ঘোষের বাড়ি। যা বিরুলিয়া জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত।
গোলাপ গ্রাম কোথায় অবস্থিত?
ঢাকার অদূরে সাভারে গোলাপ গ্রাম লোকেশন বিরুলিয়া ইউনিয়নের তুরাগ তীরে সাদুল্লাপুর গ্রাম গোলাপ গ্রাম নামে পরিচিত।